অগ্রণী ব্যাংক বাংলাদেশের একটি সরকারি জনপ্রিয় ব্যাংক। দেশের কোটি কোটি মানুষকে সেবা প্রদান করে আসছে এই ব্যাংক। অগ্রনী ব্যাংক গ্রাহকদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে বিভিন্নখাতে লোন দিয়ে থাকে। তাছাড়া অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় অগ্রনী ব্যাংকের সহজ শর্তে লোন দিয়ে থাকে। আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কনো বাড়ি কিংবা জমির দলিল এবং কনো জামানত ছাড়াই যে কনো প্রবাসী খুব সহজে এই লোন নিতে পারেন। প্রিয় পাঠক,চলুন অগ্রণী ব্যাংকের বিভিন্ন লোন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
অগ্রণী ব্যাংক কি কি খাতে লোন দেয়?
অগ্রণী ব্যাংক কোন কোন খাতে লোন সুবিধা প্রদান করে থাকে নিচে আলোচনা করা হল।
১. পার্সোনাল লোন
২. কৃষি লোন
৩. অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা লোন
৪. মুক্তিযোদ্ধা লোন
৫. গ্রিন ফিনান্স লোন
৬.স্বল্পমেয়াদী লোন
৭. প্রবাসী লোন
উপরের উল্লেখিত লোন খাতগুলোর মধ্যে থেকে আপনি একজন অগ্রণী ব্যাংকের গ্রাহক হিসেবে যে কনো একটি লোন সুবিধা গ্রহন করতে পারেন। তবে আপনি যদি লোন নিতে চান ব্যাংকের সমস্ত নীতিমালা এবং শর্তাবলী সম্পের্কে অবশ্যই জানতে হবে এবং মানতে হবে। না হলে আপনি ব্যাংক থেকে লোন পাবেন না। আজকে আমি আলোচনা করবো অগ্রণী ব্যাংক থেকে লোন পেতে কি কি রিকোয়ারমেন্ট প্রয়োজন ? যেহেতু এটি পোষ্টটি প্রবাসী লোন নিয়ে তাই শুধুমাত্র সে বিষয়ে কথা বলবো।
অগ্রণী ব্যাংক প্রবাসী লোন
আপনি যদি প্রবাসে বসবাস করেন বা দীর্ঘদিন প্রবাস থেকে দেশে ফিরে এসেছেন তারা এই লোন নিতে পারবেন। চলুন প্রবাসী লোন পেতে কি কি কাগজপত্র লাগে নিচে জেনে নিই।
১. আপনি এই লোনটি পেতে চান তাহলে অবশ্যই ভ্যালিড ভিসা থাকতে হবে।
২. পাসপোর্ট থাকতে হবে।
৩. স্বাস্থ্য পরীক্ষা পাশের সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
৪. আপনার বয়স ১৮ থেকে ৪৫ বছর হতে হবে।
৫. যে দেশে গিয়েছেন সে দেশের এয়ার টিকেট থাকতে হবে।
৬. আপনি সবোর্চ্চ ৫০ হাজার টাকা থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন।
৭.লোনের সুদের হার শতকরা ৯%।
৮. এই লোন ১৫ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
১০. আপনি যদি লোন নিতে চান আপনার স্বাবলম্বী আত্মীয় থেকে একজন গ্যারান্টার থাকতে হবে।
এ কয়েকটি ডুকুমেন্ট থাকলে আপনি খুব সহজে অগ্রণী ব্যাংকের প্রবাসী লোন পেয়ে যাবেন। তবে সবচেয়ে সহজ হয় যদি বিদেশে কর্মরত থাকা অবস্থায় বৈধ উপায়ে অগ্রণী ব্যাংকের রেমিট্যান্স হাউজের মাধ্যমে দেশে টাকা প্রেরণ করেন।
এই লোন নিয়ে প্রবাসীরা যে কনো ব্যবসা,খামার করে আর্থিক দিক দিয়ে স্বাবলম্বী হতে পারবেন। এতে করে দেশে ফেরত সব প্রবাসী বৈধ উপায়ে টাকা পাঠাতে উৎসাহিত হবে এবং নিজে উদ্যাগক্তা হয়ে কর্মসংস্থান গড়তে পারবে।