কানাডা বাংলাদেশিদের একটি স্বপ্নের দেশ। তো বাংলাদেশে থেকে কানাডা আসার অনেকগুলো উপায় রয়েছে আমরা সবাই জানি পিএইচপি প্রোগ্রাম,এক্সপ্রেস এন্ট্রি,স্টুডেন্ট ভিসা,ওয়ার্ক পারমিট ভিসা (যারা কাজের জন্য কানাডা আসতে চায়),ভিজিট ভিসা এরকম অনেকগুলো উপায় রয়েছে। প্রিয় পাঠক,আজ আমি আপনাদের কানাডা আসার সহজ ৩ টি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।
আজকে আমি কানাডায় যাওয়ার যে ৩টি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো সেটি মূলত কানাডা সরকার ২০২২ সালে সাময়িক ওপেন করে দিয়েছে। কারন করোনা ভাইরাসের কারনে সারা বিশ্বে যে অর্থনৈতিক ক্ষতি সম্মুখীন হচ্ছে সেই অর্থনৈতিক মন্দা সামাল দেয়ার জন্য কানাডা নতুন যে দরজাগুলো খুলে দিচ্ছে বা কানাডা ইমিগ্রেশনের যে নতুন নতুন আইন চালু করছে শুধুমাত্র এই অর্থে যাতে তারা কানাডার অর্থনীতিকে আরো উন্নত ও শক্তিশালী ককরতে পারে।
কানাডা তাদের দেশে এখন কাজের জন্য যে লোক নিয়োগ দিচ্ছে মূলত সেবস খাতে অনেক লোকের ঘাটতি রয়েছে । এজন্য কানাডা সরকার নতুন দুটি প্রোগ্রাম চালুর সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে । আজকে মূলত আমি সেসব বিষয়বস্তু নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো। যারা কানাডা যাবার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তাদের জন্য এটি সুবর্ন সুযোগ। এই ৩টি উপায়ে ২০২২ সালে আপনি সহজে কানাডায় যেতে পারবেন ।
আজকে আমি কানাডা আসার এই ৩টি সহজ উপায় আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। তবে তার আগে একটি কথা বলে দিই,কানাডা যাবার জন্য যে ৩ টি সহজ উপায় নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি তা হল সম্পুর্ন আমার একান্ত ব্যক্তিগত মতামত। হয়তো আরো বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে কানাডা যাবার জন্য কিন্তু আমার কাছে যেগুলো সহজ মনে হয়েছে তাই শেয়ার করলাম।
কানাডা যাওয়ার ১ম উপায়
আমার উদাহারন দিয়ে বলি আমার জানা মতে, বিদেশী ওয়ার্ক পারমিট দিয়ে কানাডা যাবার জন্য সবচেয়ে সহজ একটি উপায়। কারন এভাবে কানাডায় যেতে হলে আপনাদেরকে এক্সট্রা কনো ফি দেওয়া লাগবে না। তবে এভাবে যদি কানাডায় আসেন আপনার জন্য কঠিন কাজ হবে জব মেনেজ করা বা চাকরি পাওয়া। যদি আপনি জব মেনেজ করতে পারেন তার পরে পুরো প্রসেসটাই একদম সহজ। আর কানাডায় এসে চাকরি পাবার পরে অনলাইনে আবেদন করার জন্য আপনাকে শুধুমাত্র ১৫৫ ডলার পে দিতে হবে । আপনাদের মনে হয়তো প্রশ্ন জাগতে পারেেএই ফরেন ওয়ার্ক পারমিট আসলে কি?
ফরেন ওয়ার্ক পারমিট হচ্ছে,যেমন ধরুন করিম নামের একজনের একটি ব্যবসা আসে আর সেই ব্যবসার জন্য তাদের একজন ড্রাইভার লোক দরকার । এখন আপনি সেই চাকরির জন্য আবেদন করতে পারেন। যদি ভাগ্যক্রমে কনো মতে একটা চাকরি পেয়ে যান তাহলে আপনি সহজে ফরেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে কানাডা যেতে পারবেন।
কানাডাতে ইমিগ্রেশনের জন্য আবেদন করতে,সাহায্যে চাইতে,বিস্তারিত জানতে আমাদের কাছে ইমেইল করুন- [email protected]
কানাড যাওয়ার ২য় উপায়
পিএনপি প্রোগ্রামের মাধ্যমে আপনি খুব সহজভাবে কানাডায় যেতে পারবেন। তবে এ পদ্ধতির মাধ্যমে কানাডায় যেতে হলে আপনার একাডেমিক যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। আপনার যদি যোগ্যতা থাকে তাহলে কনো প্রকার চাকরি অফার ছাড়া পি এন পি প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারবেন। যোগ্যতা ভিত্তিতে কানাডা আসার জন্য মূলত দুই ধরনের প্রোগ্রাম চালু রয়েছে।
১. Federal Program
২.Provincial Nominee Program
Federal Program এই প্রোগ্রাম মাধ্যমে কানাডা যেতে হলে আপনার IELTS এর উপর ভালো স্কোর থাকতে হয়। আর Provincial Nominee Program যেতে হলে তেমন কনো স্কোরের প্রয়োজন পড়েনা। সাধারনত কানাডায় কোম্পানিগুরো দক্ষ জনশক্তির জন্য সারাবছর কর্মশূন্য থাকে। একাডেমিক যোগ্যতার উপর ভিত্তি করে চাকরির অভিজ্ঞতা থাকলে তাহলে খুব সহজেই Provincial Nominee Program আবেদন করতে পারবেন।
কানাডা যাওয়ার ৩য় উপায়
কানাডা আসার ৩য় উপায় হচ্ছে ভিজিট ভিসা এটি সবচেয়ে সহজ উপায়। ভিজিট ভিসায় কানাডাতে আসার জন্য আপনার প্রত্যকটা কাগজ,প্রত্যকটা ডুকুমেন্ট,সবকিছু যদি ঠিক থাকে আপনি কানাডার ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনারা যারা বিভিন্ন দেশে রয়েছেন সেখানে কিন্তু অনেকের এই ভিসার দরকার পড়েনা। ভিজিট ভিসায় কানাডা আসার জন্য দুইটা ভিসা দিয়ে থাকে।
১.একক প্রবেশ ভিসা
২.মালট্রিপল এন্ট্রি ভিসা
আপনি মাত্র ১ বার বা একক প্রবেশ ভিসায় ৬ মাসের জন্য কানাডায় আসতে পারবেন। অর্থাৎ কানাডা থেকে চলে যেতে হবে ৬ মাসের ভিতরে। আর মালট্রিপল এন্ট্রি ভিসাটা হচ্ছে এমন একটি ভিসা যে ভিসা দিয়ে আপনি অনেকবার কানাডা যাওয়া আসা করতে পারবেন।