আমেরিকা ট্যুরিস্ট ভিসা পাওয়ার সঠিক গাইডলাইন

আপডেট তথ্য । সবাইকে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। আজ আমি আলোচনা করবো আমেরিকা ট্যুরিস্ট ভিসা পাওয়ার সঠিক গাইডলাইন এর সকল তথ্য। ইতিমধ্যেই যারা আমেরিকার B1 ও B2 ভিসার জন্য আবেদন ইন্টারভিউর জন্য অপেক্ষা করছেন বা নতুন করে আবেদন করার কথা ভাবছেন তাদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ন তথ্য শেয়ার করবো যে তথ্য থেকে আপনারা পুরোপুরি ধারনা পেয়ে যাবেন।

এই মুহুর্তে আমেরিকা অ্যাম্বাসি ঢাকা তাদের টুরিস্ট ভিসা দেওয়া ফর্মূলাটা কি রকম,কিভাবে তারা নতুন নতুন রেকর্ড তৈরি করছে ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে । সেই সাথে আমি আপনাদেরকে কিভাবে আপনারা খুব সহজেই আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা নিশ্চিত করতে পারেন এ সংক্রান্ত বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে কিছু কমন ও গুরুত্বপূর্ন টিপস শেয়ার করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা ২০২৩

আজকের মূল আলোচনা হচ্ছে আমি একটা আমেরিকা ভিসার ডাটা দেখছিলাম। সেটা দেখার পর আমার মনে হলো তারা নতুন নতুন কিছু ডাটা রেকর্ড তৈরি করছে বাংলাদেশিদের ভিসা প্রদান করার ক্ষেত্রে। আপনারা জেনে অবাক হবেন যে,বর্তমানে ২০২৩ সালের মার্চে ইউএস এ এম্বাসি ঢাকা বাংলাদেশি পাসপোর্টে B1 ও B2 ভিসা দেওয়ার নতুন একটা রেকর্ড তৈরি করেছে। এটা হচ্ছে এই মার্চ মাসে তারা শুধু B1 ও B2 ভিসা ইস্যু করেছে ৩৭৫০ টা । যা আগের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে। আমি তাদের লাষ্ট ৬ মাসের একটা ডাটা দেখলাম আমি আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে নিচের চিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরলাম।

1111111111

আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এই যে রিপোর্টটা ২০২৩ মালে মার্চে তারা বাংলাদেশে B1 ও B2 ভিসা ইস্যু করেছে ৩,১৩৭ টি। তো আপনারা নিশ্চই বুঝতে পেরেছেন বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা B1 ও B2 ক্যাটাগরিতে আমেরিকা ট্যুরিস্ট ভিসা পাওয়ার রেসিওটা অনেক হাই। আমেরিকা অন্যান্য বছরের তুলনায় ২০২৩ সালে প্রচুর ভিসা দিচ্ছে। তো মূল কথা হচ্ছে আপনারা কিভাবে এই ভিসা পাবেন বা কিভাবে আবেদন করবেন অথবা আমেরিকা ভিসা পাওয়ার জন্য কিভাবে নিজেকে যোগ্য করে তুলবেন।

আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা ২০২৩ আবেদন প্রক্রিয়া

আপনারা অবশ্যই জানেন,আমেরিকা ভিসা পাওয়ার পক্রিয়াটা সম্পুর্ন ইন্টারভিউ উপর নির্ভর। তার আগে একটা DS 160 ফরম ফিলাপ করার মাধ্যমে প্রথমে ভিসা আবেদনের পাইলটা ফিলাপ করতে হয়। এই DS 160 ফরমটা একটা অনেক গুরুত্বপূর্ন ফরম। সেই ফরমে প্রচুর পরিমানে আপনার তথ্য দিতে হয়। একটার সাথে আরেকটার সংযোগ থাকতে হয়। তাই DS 160 ফরম পূরনের সময় জেনে বুঝে সবকিছু সঠিক তথ্য দিবেন যাতে কনো ধরনের নকল অথবা মিথ্যা তথ্য সন্দেহ না থাকে।

মূলত আপনি তাদের বোঝাতে সক্ষমতা থাকতে হবে যে,আপনি একজন সমাজের সুপরিচিত যোগ্য মানুষ। আপনার অতীতে সমাজের কনো প্রকার অপকর্ম বা খারাপ কাজের রেকর্ড নেই। আপনাকে ইন্টারভিউ মাধ্যমে এমন পরিচিত করাতে হবে আপনি সমাজের প্রতিষ্ঠিত,সমাজের আপনার একটা ভালো স্ট্যাটাস আসে। আপনি কেন আমেরিকা যেতে চাচ্ছেন এবং সেখানে কি করবেন,উদ্দেশ্য কি ইত্যাদি প্রশ্ন আপনাকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে হবে। যদি কাজটি কঠিন মনে হয় তাহলে অন্য কারোর সাহায্যে নিতে পারেন।

ইতিমধ্যেই প্রচুর বাঙলাদেশি আমেরিকা ভিসার জন্য আবেদন করছে। এর মধ্যে থেকে যাচাই বাচাই করে উপযুক্ত যোগ্য মানুষকে তারা ভিসা প্রদান করবে। তাই আমেরিকা ভিসা পেতে অবশ্যই আপনাকে উপযুক্ত কারন তুলে ধরতে হবে। এই DS 160 ফরম সঠিকভাবে পূরন করতে পারলে আপনার ভিসা হবার চান্স ৮০% রয়েছে। তাই এই ফরম পূরনের জন্য যার আগে অভিজ্ঞতা রয়েছে সে অনেকদিন যাবৎ ইউএসএ রয়েছে বা ইমিগ্রেশন সেন্টারে কাজ করেছে এরকম প্রাকটিক্যাল অভিজ্ঞতা সম্পন্ন লোক দিয়ে কাজ করাতে পারবেন ।

আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা ২০২৩ আবেদন টিপস

সেক্ষেত্রে কি হবে আপনি যদি ভিসা নাও পান পরবর্তিতে ওটাকে কাজে লাগিয়ে সে আপনাকে ভিসার জন্য সহযোগীতা করতে পারবে। যদি আপনার এই DS 160 ফরম সঠিকভাবে পূরন না করে ভিসার জন্য আবেদন করেন তাহলে কিন্তু বড় বিপদে পড়ে যাবেন সেই তথ্য কিন্তু তাদের কাছে জমা থেকেই যায়। আপনি ভিসা তো পাবেনই না উল্টো পরবর্তিতে আবার ভিসার জন্য আবেদন করলে সেই পুরনো রেকর্ড থেকে যাবে । আপনি চাইলেই সেখান থেকে আর পরিবর্তন করতে পারবেন না। DS 160 ফরমে এমন কিছু প্রশ্ন থাকে যা একবার পূরন করলে দ্বিতীয় বার পূরন করা যায় না।

তাই সেই গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো পুরন করার জন্য হাত দেয়ার আগে অন্তত ১০০ বার চিন্তা করে জেনে বুঝে উত্তর দিতে হবে। সেক্ষেত্রে ভিসা পাওয়ার জন্য আর কনো উপায় থাকবে না । এবার যদি DS 160 ফরম সঠিক ভাবে পূরন করে সাবমিট করার পর ইন্টারভিউর জন্য অপেক্ষা করবেন। ইন্টারভিউতে যাবার পরে আমেরিকা ভিসা অফিস কি করে তারা আপনার DS 160 ফরমটি দেখে একটি সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকে । সেই DS 160 ফরমটি যদি পজেটিভ হয় সেক্ষেত্রে ভিসা পাওয়া একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে যায়। সে কারনে আপনারা হয়তো বুঝতে পারছেন, এই DS 160 ফরম সটিকভাবে পূরন করা কতটা গুরুত্বপূর্ন।

আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা ২০২৩ না হবার কারন

আপনি সঠিকভাবে DS 160 ফরম পূরন করলেও অনেক সময় কিন্তু ভিসা হয়না বা ভিসা রিফিউজ হতে পারে। কি কারণে রিফিউজ হয় তার কারন হলো,তারা আপনার DS 160 ফরম দেখে একভাবে চিন্তা করে রেখেছে আর আপনি ইন্টারভিউতে গিয়ে সেরকম ডেলিভারি দিতে পারলেন না । তারা আপনার কাছ থেকে যা প্রত্যাশা করেছিল সে রকম কিছু পাইনি। এটি ভিসা না পাওয়ার দ্বিতীয় কারন। তাই ওই DS 160 ফরম যে তথ্য দিয়েছেন সে আদলে আপনাকে সাজাতে হবে, প্রস্তুত করে নিতে হবে। মূলত ইন্টারভিউটি নির্ভর করে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কি রকম,মানসিকতা কেমন,সাবলিল আসেন কিনা, আমেরিকা যাবার উদ্দেশ্য ও কারন বুঝাতে পারছেন কিনা,DS 160 অনুযায়ী আপনি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারছেন কিনা ইত্যাদি।

এসব কিছুর উপর নির্ভর করে তারা আপনাকে ভিসা অনুমোদন দেবে কি দেবে না। যদি ভিসা দেয় তাহলে তারা কি করবে আপনার পাসপোর্ট রেখে দেবে আর যদি ভিসা না দেয় তারা জানিয়ে দেবে যে, এই মুহুর্তে আপনাকে ভিসা দেওয়া হলো না,পরবর্তিতে আবার চেষ্টা করবেন। কিন্তু দূভাগ্যের বিষয় হচ্ছে,একবার যদি ভিসা না পান তাহলে খুব তাড়াতাড়ি আর নতুন করে ইন্টারভিউ ডেট পাচ্ছেন না। তাই অত্যন্ত সাবধানতার সাথে এই ভিসার আবেদন করা দরকার।

আমেরিকা দূতাবাস বাংলাদেশ

আমেরিকা দূতাবাস ঢাকা
মাদানি অ্যাভিনিউ, বারিধারা,
ঢাকা-১২১২
বাংলাদেশ
টেলিফোন: (৮৮০) (২) ৫৫৬৬-২০০০

আশা করি আমেরিকা ট্যুরিস্ট ভিসা পাওয়ার সঠিক গাইডলাইন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আমি আজকের এই পোষ্টে যে তথ্যগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি সেগুলো মেনে চললে অবশ্যই আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা পাবেন। আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা ও ইন্টারভিউ সম্পর্কে যদি কনো প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। এ ধরনের আরো দরকারী পোষ্ট পেতে আমাদের ভিসা পেজে ভিজিট করুন। ভালো থাকবেন । সবার জন্য শুভকামনা।

Related Posts

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

© 2024 Widedetails - All Rights Reserved