ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন ২০২৩

ইসলামী ব্যংক প্রবাসী লোন ২০২৩। বাংলাদেশের অনেকগুলো ব্যাংক রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম ব্যাংক হচ্ছে ইসলামি ব্যাংক। এদেশের প্রতিটি ব্যাংক নাগরিকদের বিভিন্ন প্রকার লোন সুবিধা দিয়ে থাকে ইসলামি ব্যাংকও ব্যতিক্রম নয়। ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশের একমাত্র হালাল ও ইসলামী শরিয়া ব্যাংক। তবে ইসলামী ব্যাংক নিয়ে অনেকের কাছে অভিযোগ রয়েছে,ইসলামী ব্যাংক তাদের প্রতারনা করেছে,হালাল নাম দিয়ে তারা সুদ গ্রহন করে।

জানা থাকা দরকার বিশ্বের সবগুলো ব্যাংক সুদের উপর নির্ভরশীল। সুদ ছাড়া প্রতিটি ব্যাংক অচল। ইসলামী ব্যাংক এটাকে সরাসরি লোন হিসাবে বিবেচিত করেনা,এই লোন সুবিধাকে তারা ইনভেস্টমেন্ট বা বিনিয়োগ বলে থাকে। অন্যান্য ব্যাংকের মত ইসলামী ব্যাংকও প্রবাসীদের লোন সুবিধা প্রদান করে থাকে। নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।

ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন ২০২৩

প্রবাসী বাংলাদেশী উদ্যোক্তা বিনিয়োগ প্রকল্প কি কি উদ্দেশ্য নিয়ে ইসলামী ব্যাংক এ লোন দিয়ে থাকে।

১.প্রবাসীদের (NRBs) বিনিয়োগ সুবিধা সম্প্রসারণ এবং IBBL এর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আদান প্রদান কার।

২.ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যাক্তা( এসএমই) বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে।

৩. ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বৈদেশিক রেমিট্যান্স প্রদানে উৎসাহিত করা এবং অর্থ পাচার বন্ধ করা।

৪. সকল প্রবাসীর ও সন্তানদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা।

৫. দারিদ্র্য বিমোচন এবং প্রবাসী উন্নয়নকে উৎসাহিত করা/দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা

৬.উদ্যোক্তা উন্নয়ন তৈরি করা

ইসলামী ব্যাংক কোন কোন খাতে লোন দেয়?

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড ইসলামী শরিয়া মোতাবেক যে সকল খাতে লোন বা বিনিযোগ দিয়ে থাকে তা নিচে দেওয়া হল।

১. হাউস হোল্ড লোন স্কিম

২. মাইক্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লোন স্কিম (MIIS)

৩.ডাক্তার লোন স্কিম (ISD)

৪.কৃষি বাস্তবায়ন লোন স্কিম (AIIS)

৫.ট্রান্সপোর্ট লোন স্কিম (TIS)

৬. রিয়েল এস্টেট লোন প্রোগ্রাম (REIP)

৭.গাড়ী লোন স্কিম (CIS)

৮. রিয়েল এস্টেট লোন (বাণিজ্যিক ও কার্যকরী মূলধন)

৯. ছোট ব্যবসা লোন স্কিম (SBIS)

১০. ইসলামী ব্যাংক কৃষি লোন

১১. উদ্যোক্তা লোন স্কিম (NEIS)

১২. মহিলা উদ্যোক্তা লোন স্কিম (WEIS)

১৩. প্রবাসী লোন(এনআরবি)

ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন কারা পাবেন ?

বাংলাদেশের যে কনো নাগরিক যারা দীর্ঘদিন বিদেশে বসবাস করেন তারাই এ লোন নিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনি যে দেশে বসবাস করেন তার সে দেশের ভিসা ও পাসপোর্ট থাকতে হবে। যে কোম্পানীতে চাকরি করেন সে কোম্পানীর বেতন রশিদ,নিয়োগ পত্রসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য ডুকুমেন্ট থাকতে হবে। তবে যে সকল প্রবাসী ইসলামী ব্যাংকের সাথে টাকা লেনদেন করে তাদের জন্য বিশেষ অগ্রাধিকার দেয় । এই লোন পাওয়ার জন্য ২ জন আপনার আত্মীয় গ্যারান্টার থাকতে হবে এবং তাদের আর্থিকভাবে স্বাভলম্বী হতে হবে।

বিনিয়োগের পদ্ধতি

1. মেয়াদী বিনিয়োগ: HPSM

2. কাজের মূলধন: বাই

3. বাণিজ্যিক অর্থায়ন:

বিনিয়োগের সময়কাল

বিনিয়োগ মেয়াদ সর্বোচ্চ 10 বছর

ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল এবং ট্রেড ফাইন্যান্সিং: সর্বোচ্চ ১ (এক) বছর

বিনিয়োগের পরিমাণ ৫ লক্ষ টাকা থেকে ১০ কোটি

কিভাবে প্রবাসী লোন আবেদন করতে হবে ?

প্রবাসী লোন পেতে হলে আপনাকে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের এর যে কনো শাখা থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে। তারপর সঠিক নিয়মে আবেদনপত্রটি পূরন করে প্রয়োজনী কাগজপত্র জমা দিতে হবে। প্রয়োজনে ফোন করতে পারেন ইসলামী ব্যাংক হেল্পলাইন নাম্বার হচ্ছে ১৬২৫৯ বা ০৯৬১১০১৬২৫৯ । বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।

Related Posts

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

© 2024 Widedetails - All Rights Reserved